নিজস্ব প্রতিবেদক :: কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ভুক্তভোগী নারী ৯৯৯-এ ফোন করে সেবা পাননি বলে করা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছে পুলিশ। কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান দাবি করেছেন, ওই নারী সাহায্য চেয়ে ৯৯৯-এ ফোন করেননি।
একই সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী নারীর পূর্ব পরিচিত বলে দাবি করছে তদন্ত কর্মকর্তরা।
আজ শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় একজন অভিযুক্ত ওই নারীর পূর্ব পরিচিত। তাদের মধ্যে কী নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল, অন্য কোনো বিষয় ছিল কি না, এসব বিষয় নিয়ে পুলিশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করছে।
৯৯৯-এ ফোন কের সাড়া না পাওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে এসপি বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি ধর্ষণের সময় কিংবা ওইদিনে তারা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেননি। ৯৯৯-এ যে কেউ ফোন করলে সেটি রেকর্ড থাকে। আমি নিজে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলেছি ও তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছেন ৯৯৯-এ ফোন করেননি।
পুলিশ দাবি করে, ঢাকার যাত্রাবাড়ীর জুরাইন এলাকায় থাকার কথা বললেও ওই দম্পতি তাদের সন্তানসহ তিন মাস ধরে কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেলে থাকছিলেন। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাম ব্যবহার করতেন। ওই নারী পুলিশের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও দাবি করেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
এর আগে, রাজধানী থেকে কক্সবাজার বেড়াতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক পর্যটক। তাঁর স্বামীসহ আট মাসের শিশুসন্তানকে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। গত বুধবার রাতে সৈকতের কলাতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের শিকার পর্যটকের অভিযোগ, তিনি ৯৯৯ নম্বরে কল করলে তাঁকে সরাসরি কক্সবাজার সদর মডেল থানার সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়। থানা থেকে তাঁকে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে সড়কের পাশে টাঙানো সাইনবোর্ড থেকে র্যাব-১৫-এর নম্বর নিয়ে ফোন করলে তারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
পাঠকের মতামত: